সর্বশেষ সংবাদ
জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, বৈষম্য দূর করে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই লড়াই চলবেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট স্টেশনে এক সুধি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, অনেকেই নির্বাচিত হয়ে নিজেকে শাসক মনে করেন। কিন্তু আমি শাসক হতে চাই না। আমি সাধারণের সঙ্গে থাকতে চাই। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। এ জন্য রাজশাহীর মানুষ সব সময় পাশে থাকবে এই প্রত্যাশা করে বাদশা বলেন, ক’দিন আগে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আর পুলিশ এই শীতের মধ্যে নগরীর গাঙপাড়া খালের পাড়ের বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করতে শুরু করল। আমি বললাম, উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হলো। কিন্তু হুমকি দিয়ে লাভ নেই। তিনি বলেন, হুমকিদাতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে না। পুলিশ আমাদের কথা শোনে না। পুলিশের কেউ কেউ দুর্বৃত্তদের সঙ্গেই ওঠাবসা করে। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চলে। আবার পকেটে ফেনসিডিল ঢুকিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতে পারে না। আবার ইদানিং কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিতে অপরাধে জড়িত লোকজন স্থান পায়। এটা খুবই দুঃখজনক। এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সমাবেশে রাজশাহীর নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়েও কথা বলেন ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলে বহু উন্নয়ন হয়েছে যার ব্যাপারে আমি সংসদে কথা বলেছি। স্বল্প সময়ের মধ্যেই যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এটা নিয়েও বিগত পাঁচ বছর ধরে সংসদে কথা বলে আসছি। এই সেতু হয়ে গেলে রাজশাহী-ঢাকা রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়টি করে ট্রেন চলবে। ট্রেন চলাচলে তখন আর বিলম্ব হবে না। বাদশা বলেন, সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তার কাছে দাবি জানিয়েছেন, প্রতিটি ট্রেনের সঙ্গে যেন মালবাহী চারটি বগি যুক্ত করা হয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এটা হবে। এর ফলে কৃষক কম খরচে তার পণ্য পরিবহন করতে পারবে। সবার আগে কৃষকের স্বার্থ দেখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষক গোটা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাই এ দেশের কৃষকের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করা চলবে না। রাজশাহীতে পরিকল্পিত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলবে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমাদের এমন উন্নয়ন করতে হবে যেন পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে। কেউ কেউ বলেন, রাজশাহীতে ট্যানারি শিল্প করে কর্মসংস্থান করা হবে। আমরা এই ট্যানারি শিল্প চাই না। এটি হলে আমাদের পদ্মা নদীর পানি দূষিত হবে। বুড়িগঙ্গার পানির মতো পদ্মার পানিও আলকাতরায় পরিণত হবে। ধান, পাট ফসলের আবাদ হবে না। তাই চামড়া শিল্প হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহীর অনেক উন্নয়ন করেছি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে আমি রাজশাহীর উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরব। এ ব্যাপারে তিনি রাজশাহীর সবস্তরের মানুষের পরামর্শ প্রত্যাশা করেন বলেও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন রাকসুর সাবেক ভিপি ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী মহানগরীর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাবাসী এই সুধি সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহাতাবুল ইসলাম বাবু। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, দিগন্ত প্রসারি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, সমাজসেবক মঞ্জুর মোর্শেদ চুন্না প্রমুখ। ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য এমরান আলীর পরিচালনায় সমাবেশে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোয়াব আলী খান, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য আবদুল মতিন, নগর যুবমৈত্রীর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বকুল, জেলার সভাপতি মনির উদ্দিন পান্না, সমাজসেবক গোলাম সারওয়ার স্বপন, ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোলাম রসুল গোলাপসহ ,মহিদুল হক ডলার ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদপ্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।